Cart

There is no item in your cart

// Welcome to our company

✅✅ গর্ভাবস্থায় সহ”বাস করার ইসলামিক নিয়ম:

ইসলামে, গর্ভাবস্থায় সহবাস করা সাধারণত বৈধ। আসলে, স্ত্রীর যৌন চাহিদা পূরণ করা স্বামীর ধর্মীয় দায়িত্ব। তবে, কিছু বিষয় বিবেচনা করা গুরুত্বপূর্ণ। গর্ভাবস্থায় সহ*বাসের ইসলামিক নিয়মগুলো জেনে নিন-

১) স্ত্রীর সম্মতি: সহবাসের জন্য স্ত্রীর সম্মতি অপরিহার্য। স্ত্রী যদি অসুস্থ বোধ করেন বা যৌনতা করতে অনিচ্ছুক হন, তাহলে স্বামীর উচিত তাঁর ইচ্ছাকে সম্মান করা।

২) স্ত্রীর স্বাস্থ্য: স্ত্রীর শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করা গুরুত্বপূর্ণ। যদি স্ত্রীর কোন জটিলতা থাকে, তাহলে সহ*বাসের পূর্বে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।

৩) সাবধানতা অবলম্বন: সহ*বাসের সময় স্ত্রীর প্রতি সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। তীব্রতা এড়িয়ে চলা এবং স্ত্রীর শরীরের উপর অতিরিক্ত চাপ না দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

৪) পবিত্রতা: সহ*বাসের পরে, স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই জানাবা (ধর্মীয় স্নান) গোসল করা উচিত।

৫) যৌন স্বাস্থ্য: যৌন স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য সর্বদা নিরাপদ যৌন অনুশীলন করা উচিত, যার মধ্যে রয়েছে স্ট্যান্ডার্ড কনডম ব্যবহার করা।

⭕⭕ গর্ভাবস্থায় কতদিন সহ*বাস করা যায়:

গর্ভাবস্থার সময়কাল নির্ধারণ করা জটিল, কারণ এটি নির্ভর করে বিভিন্ন বিষয়ের উপর, যার মধ্যে রয়েছে:

♦️আপনার স্বাস্থ্য: যদি আপনার গর্ভাবস্থায় কোন জটিলতা না থাকে, তাহলে সাধারণত আপনি গর্ভাবস্থার পুরো সময় সহবাস করতে পারেন।

♦️আপনার ডাক্তারের পরামর্শ: আপনার ডাক্তার আপনার নির্দিষ্ট পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে আপনাকে নির্দিষ্ট নির্দেশিকা দিতে পারবেন।

আপনার এবং আপনার সঙ্গীর ব্যক্তিগত পছন্দ: আপনারা কতটা আরামদায়ক বোধ করেন এবং আপনার শরীর কেমন প্রতিক্রিয়া জানায় তার উপর নির্ভর করে আপনি সহ*বাস করতে পারেন।

🔷🔷 গর্ভাবস্থায় সহ*বাস মাস অনুযায়ী:

প্রথম তিন মাস: যদি আপনার কোন জটিলতা না থাকে, তাহলে প্রথম তিন মাসে সহবাস করা সাধারণত নিরাপদ। তবে, যদি আপনার রক্তপাত, পেটে ব্যথা বা জ্বর থাকে তবে সহবাস থেকে বিরত থাকা বা আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।

দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ত্রৈমাসিক: এই সময়ে, সহ*বাস করা সাধারণত নিরাপদ, তবে আপনার শরীরের কথা শোনা এবং অস্বস্তি অনুভব করলে থামানো গুরুত্বপূর্ণ।

প্রসবের আগে: প্রসবের কয়েক সপ্তাহ আগে, আপনার ডাক্তার আপনাকে সহ*বাস থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিতে পারেন কারণ এটি জরায়ুর মুখকে নরম করতে এবং অকাল প্রসবের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

🔰🔰🔰গর্ভাবস্থায় সহবাস করার নিয়ম যদিও অধিকাংশ দম্পতির জন্য গর্ভাবস্থায় সহবাস করা নিরাপদ, তবে সবসময় এটি সহজ নাও হতে পারে। গর্ভাবস্থায় স্বাভাবিক সময়ের মত সহবাস করতে কোন সমস্যা হলে বিভিন্নভাবে পজিশন বা অবস্থান পরিবর্তন করে চেষ্টা করে দেখতে পারেন। এক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রীর ব্যক্তিগত স্বাচ্ছন্দ্যের ব্যাপারটিই মুখ্য। তবে গর্ভাবস্থায় সহবাসের ফলে আপনি বা গর্ভের সন্তান যেন কোনোভাবে আঘাত না পান সে ব্যাপারে সবসময় সাবধান থাকা উচিত।

গর্ভাবস্থায় সহবাস করার সময় আপনার সঙ্গী উপরে অবস্থান করলে তা আপনার জন্য কিছুটা অস্বস্তিকর হতে পারে, যেহেতু এসময় আপনার পেট আকারে বাড়তে থাকে আর সেই সাথে স্তন ও শরীরের অন্যান্য অংশে এসময় ব্যথাও অনুভব হয়। এছাড়া গর্ভাবস্থায় সহবাসের সময় পুরুষাঙ্গ আপনার শরীরের বেশি গভীরে গেলেও এসময় অস্বস্তির কারণ হতে পারে৷ তাই এসব সমস্যা এড়াতে যেকোনো একদিকে কাত হয়ে শুয়ে সহ*বাসের চেষ্টা করে দেখতে পারেন।

এছাড়া আপনার সঙ্গীর পরিবর্তে আপনি উপরে অবস্থান করে বা আপনি সামনে আপনার সঙ্গী পেছনে অবস্থান করেও চেষ্টা করে দেখতে পারেন। হাতে বা হাঁটুতে ভর দেয়ার সময় বালিশ বা কুশন ব্যবহার করতে পারেন।

💓ধন্যবাদ সবাইকে কষ্ট করে পোস্টটি পড়ার জন্য… আশা করি সবসময় সাথেই থাকবেন ইনশাআল্লাহ🖤
পাপমুক্ত থাকুন… সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন…

📌📌 যারা পর্নোগ্রাফি ও হস্তমৈথুনে আসক্ত তারা গ্রুপে জয়েন হয়ে থাকতে পারেন।
ভালো উপকার পাবেন ইনশাআল্লাহ ♥️


Written by

mntitu

× পরামর্শর জন্য কল করুন